কিভাবে খাবার দিয়ে শরীরের প্রদাহ কমানো যায়
কিভাবে খাবার দিয়ে শরীরের প্রদাহ কমানো যায়
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কয়েকটি প্রদাহরোধী ভেষজ এবং মশলা অন্তর্ভুক্ত করে শরীরের প্রদাহ এড়ানো বা কমানো যায়। প্রদাহ বিরোধী ভেষজ এবং মশলাগুলির তালিকা যা প্রতিদিন গ্রহণ করা যেতে পারে:
1- হলুদ
হলুদ সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়। এটি কারকিউমিন সমৃদ্ধ, একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এর প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। কারকিউমিন শরীরের শোষণ বাড়াতে কালো মরিচের সঙ্গে হলুদ গ্রহণ করা যেতে পারে।
2- কালো মরিচ
কালো মরিচ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এটি হজমের অনেক সমস্যার চিকিৎসায়ও বেশ কার্যকর।
৩- এলাচ
এলাচ একটি মিষ্টি এবং সুগন্ধযুক্ত গন্ধ আছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে এলাচ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারের কিছু ক্ষেত্রে উপকারী।
4- দারুচিনি
বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী দারুচিনি খাওয়ার ফলে প্রদাহ কমে, তবে বিশেষজ্ঞরা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ভালো ফল পেতে অল্প পরিমাণে দারুচিনি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
5- আদা
এর রন্ধনসম্পর্কীয় ব্যবহার ছাড়াও, আদা ঐতিহ্যগতভাবে সর্দি, মাসিকের বাধা, মাইগ্রেন, বমি বমি ভাব, বাত এবং উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সার জন্য একটি ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আদা প্রদাহ এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
6- রসুন
বাত, কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অন্যান্য রোগের মধ্যে প্রদাহের চিকিৎসার জন্য রসুন যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে রসুন তার সমৃদ্ধ সালফার যৌগগুলির কারণে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য প্রদান করে।
7- আংটি
মেথি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে জয়েন্টের ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফোলাভাব উপশম হয়। মেথি খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। মেথি সিদ্ধ করে উত্পাদিত বাষ্প শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ কমাতে শ্বাস নেওয়া যেতে পারে।
8- থাইম
থাইম খাদ্যের স্বাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, এবং থাইম খাওয়ার ফলে প্রদাহ-বিরোধী এবং জীবাণুরোধী বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা এটি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য উপকারী করে তোলে।
9- রোজমেরি
গবেষণা পরামর্শ দেয় যে রোজমেরিতে থাকা পলিফেনল প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
10- সবুজ চা
সবুজ চা IBD, আলসারেটিভ কোলাইটিস, মাড়ির রোগ এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সাথে যুক্ত প্রদাহজনক মার্কার কমাতে সাহায্য করে।