অ্যালোভেরার ছয়টি প্রসাধনী ব্যবহার

অ্যালোভেরার ছয়টি প্রসাধনী ব্যবহার

অ্যালোভেরাকে প্রসাধনী ক্ষেত্রে বহুমুখী উদ্ভিদের মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এর সবচেয়ে বিশিষ্ট প্রমাণ হল ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে এই উদ্ভিদের এই অস্বাভাবিক ব্যবহার।

প্রসাধনী ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার ব্যবহার অনেক পুরানো, কারণ প্রাচীনকালে মিশরীয়, গ্রীক এবং রোমানরা এটি জানত। এই উদ্ভিদ ভিটামিন A, B1, B2, B3, B6, B9, B12, C এবং E সমৃদ্ধ। এতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং এর মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে। ক্রোমিয়াম অ্যালোভেরা খাওয়ার সময়, জৈব রাসায়নিক উদ্দীপনা সমৃদ্ধ এনজাইমগুলি থেকে উপকৃত হওয়া সম্ভব, কারণ এতে শর্করা রয়েছে যা ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে এবং অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি প্রোটিনের আকার ধারণ করে যা শক্তি সরবরাহ করে এবং টিস্যুতে রাসায়নিক ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যালোভেরা জেল, যা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত প্রসাধনী পরীক্ষাগার দ্বারা পাত্রে প্যাক করা হয়, এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে, অথবা এটি সরাসরি এই উদ্ভিদের পাতা থেকে পাওয়া যেতে পারে।

ত্বকের জ্বালা নিরাময়ের জন্য:

অ্যালোভেরা জেল শুধুমাত্র ত্বককে প্রভাবিত করে এমন রোদে পোড়া চিকিত্সা করে না, তবে এটি জ্বালা এবং বিরক্তিকর চুলকানিও চিকিত্সা করতে সক্ষম। অ্যালোভেরার পাতা নেওয়া এবং এতে থাকা জেলটি বের করতে সক্ষম হওয়ার জন্য এটিকে আলতো করে লম্বালম্বিভাবে দুটি অংশে কেটে ফেলা যথেষ্ট, তবে এটি সরাসরি চুলকানি বা রোদে পোড়া জায়গায় প্রয়োগ করা হয়। এই ক্ষেত্রের ফলাফলগুলি তাত্ক্ষণিক, কারণ এই জেলটি প্রভাবিত এলাকাকে প্রশমিত করবে এবং গভীরভাবে ময়শ্চারাইজ করবে

জোয়ান থেকে মুক্তি পেতে:

একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং মাস্ক (বা ব্ল্যাকহেডস) প্রস্তুত করা খুব সহজ, এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে এক চা চামচ অ্যাক্টিভেটেড চারকোল পাউডার (আপনি এটি ফার্মেসিতে খুঁজে পেতে পারেন) মিশ্রিত করা যথেষ্ট। এই মিশ্রণটি ব্রাশের সাহায্যে সেই জায়গায় প্রয়োগ করা হয় যেখানে সাধারণত চুল দেখা যায় (কপাল, নাক, চিবুক) এবং তারপর তাজা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে 15 মিনিটের জন্য রেখে দেওয়া হয়। জিওয়ান থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দুবার এই মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।

পরিষ্কার ত্বকের জন্য:

ত্বককে ভিতর থেকে শুদ্ধ করতে, অ্যালোভেরার রসের উপর ভিত্তি করে একটি প্রাণবন্ত সকালের পানীয় তৈরি করুন। এক কাপ গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস এবং এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল যোগ করাই যথেষ্ট, তারপর উপাদানগুলিকে ভালভাবে মেশান এবং অবিলম্বে মিশ্রণটি পান করুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সপ্তাহে কয়েকবার এই পানীয়টি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

শেভিং জেল:

অ্যালোভেরা জেলকে শেভিং লোশনে পরিণত করা যেতে পারে। শরীরের যেসব জায়গায় অতিরিক্ত লোম আছে সেগুলোর ওপর রেজার চালানোর আগে এটি প্রয়োগ করাই যথেষ্ট। এই জেলের ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যগুলি রেজারকে ত্বকের উপর দিয়ে পিছলে যাওয়া এবং কাটা থেকে রক্ষা করা সহজ করে তুলবে। এই জেলটি শেভ করার পরে শরীরের ত্বকে গভীরভাবে পুষ্টি এবং ময়শ্চারাইজ করার জন্য প্রয়োগ করা যেতে পারে।

শুষ্ক চুলের যত্নের জন্য:

শুষ্ক এবং নিষ্প্রাণ চুলের যত্নের জন্য, চুলের লকগুলিতে অ্যালোভেরা জেল মাস্ক হিসাবে প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং এটি জল দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলার আগে প্রায় আধা ঘন্টা রেখে দিন। এই ক্ষেত্রে ফলাফলটি চুলকে গভীরভাবে ময়শ্চারাইজ করার এবং এর উজ্জ্বলতা বাড়াতে অবিলম্বে। চুলের সজীবতা বজায় রাখতে সপ্তাহে একবার এই মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।

2023 সালের জন্য মাগুই ফারাহ এর রাশিফলের ভবিষ্যদ্বাণী